লন্ডনের সবচেয়ে দরিদ্র পাড়া
কিভাবে?
লন্ডনের দরিদ্রতম প্রতিবেশী নির্ধারণ করা যেতে পারে শহরের বিভিন্ন এলাকার আয় এবং জীবনযাত্রার মানের তথ্য বিশ্লেষণ করে। এই বিশ্লেষণটি আদমশুমারির তথ্য বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা সম্পাদিত সমীক্ষা ব্যবহার করে করা যেতে পারে। বিভিন্ন মানদণ্ড যেমন বাসিন্দাদের গড় আয়, বেকারত্বের হার এবং আবাসনের গুণমান অনুযায়ী আশেপাশের এলাকাগুলিকে গোষ্ঠীভুক্ত করা সম্ভব৷
লন্ডনের দরিদ্রতম প্রতিবেশী নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতির উদাহরণ প্রতিটি প্রতিবেশীর আয়ের বন্টন বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। আদমশুমারির তথ্য ব্যবহার করে, আমরা প্রতিটি পাড়ার জন্য গড় আয় গণনা করতে পারি। সর্বনিম্ন মাঝামাঝি এলাকাকে সবচেয়ে দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
Pourquoi?
লন্ডনের দরিদ্রতম এলাকা জানা অরক্ষিত সম্প্রদায়ের চাহিদা চিহ্নিত করা এবং তাদের অর্থনৈতিক অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই ডেটা ব্যবহার করে দারিদ্র্য কমানোর নীতি তৈরি করতে এবং প্রয়োজনীয় বাসিন্দাদের যেমন খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক পরিষেবা প্রদান করতে পারে।
কোথায়?
লন্ডনের দরিদ্রতম এলাকা শহরের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত হতে পারে। পূর্ব লন্ডনের এলাকা, যেমন টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম এবং হ্যাকনি, জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় এবং চাকরির সম্ভাবনার অভাবের কারণে প্রায়শই তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্তরের দারিদ্র্য থাকে।
কে?
দরিদ্র লন্ডনের আশেপাশের বাসিন্দারা প্রায়ই প্রান্তিক এবং দুর্বল মানুষ, যেমন নিম্ন আয়ের পরিবার, বয়স্ক মানুষ, শিশু এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাযুক্ত ব্যক্তিরা। এনজিও এবং কমিউনিটি সংস্থাগুলি এই গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য ও সমর্থন প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
লন্ডনের সবচেয়ে দরিদ্র পাড়া কোনটি?
2011 সালের আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, লন্ডনের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকা হল টাওয়ার হ্যামলেটস। এই এলাকায় গড় পরিবারের আয় ছিল £30, যা লন্ডনের গড় £200 থেকে বেশ কম।
অনুরূপ প্রশ্ন এবং উত্তর:
- লন্ডনের অন্য কোন এলাকায় উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য রয়েছে?
উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য সহ লন্ডনের আরও কিছু এলাকা হল নিউহ্যাম, হ্যাকনি, ব্রেন্ট এবং বার্কিং এবং দাগেনহাম।
- লন্ডনের দারিদ্র্য যুক্তরাজ্যের অন্যান্য শহরের সাথে কীভাবে তুলনা করে?
অন্যান্য ব্রিটিশ শহরের তুলনায় লন্ডনে দারিদ্র্যের মাত্রা বেশি। 2016 সালের তথ্য অনুসারে, লন্ডনে দারিদ্র্যের হার ছিল 27%, যেখানে জাতীয় গড় 22% ছিল।
- লন্ডনে দারিদ্র্যের প্রধান কারণ কী?
লন্ডনে দারিদ্র্যের প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, বেকারত্ব, জাতিগত বৈষম্য এবং ভদ্রতা।
- লন্ডনে কতজন লোক দারিদ্র্য দ্বারা প্রভাবিত হয়?
2017 সালের তথ্য অনুসারে, লন্ডনে প্রায় 2,5 মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে, যা শহরের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
- লন্ডনে দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য কোন নীতি রয়েছে?
লন্ডনে দারিদ্র্য কমানোর নীতির মধ্যে রয়েছে আয় সহায়তা স্কিম, কর্মসংস্থান অনুদান, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনে বিনিয়োগ এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার উন্নতির ব্যবস্থা।
- কীভাবে কোভিড-১৯ মহামারী লন্ডনে দারিদ্রকে প্রভাবিত করেছে?
কোভিড-১৯ মহামারী লন্ডনে দারিদ্র্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে আতিথেয়তা এবং খুচরা বিক্রেতার মতো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পে কাজ করা লোকেদের জন্য।
- লন্ডনে দারিদ্র্যের মাত্রা কি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে?
লন্ডনে দারিদ্র্যের মাত্রা সময়ের সাথে বেড়েছে, বিশেষ করে 1980 সাল থেকে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে কারণ উৎপাদন শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে এবং চাকরি বন্ধ হয়ে গেছে।
- লন্ডনের দরিদ্র এলাকার বাসিন্দারা কীভাবে সাহায্য এবং সমর্থন পেতে পারে?
লন্ডনের দরিদ্র এলাকার বাসিন্দারা এনজিও, কমিউনিটি সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাহায্য এবং সমর্থন পেতে পারেন। উপলব্ধ পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, চাকরির প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক পরিষেবা৷